বলা হয়ে থাকে তরুণরাই একটা জাতির ভাগ্য পরিবর্তনের হাতিয়ার। যে জাতির তারুণ্য যত উদ্যোমী ও দেশপ্রেমিক, সেই জাতি তত উন্নতি করতে পারে।
একটি উপকূলীয় অঞ্চল হিসেবে বাঁশখালী স্বভাবতই দুর্যোগপ্রবণ। বঙ্গোপসাগরে জন্ম নেয়া একাধিক ঘুর্ণিঝড় প্রতিবছর আমাদের উপকূলকে আঘাত হানতে চায়। যার কারনে এখানে জরুরী মুহুর্তে স্বেচ্ছাসেবী কার্যক্রমের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য।
আবার শিক্ষা ও সংস্কৃতির দিক থেকে কিছুটা সুবিধাবঞ্চিত জনপদ হিসেবে আমাদের কিছু লোকজন মদ, জুয়া সহ নানা অসামাজিক কাজে জড়ায়। ইন্টারনেটের অতি সহজলভ্যতা আবার সম্প্রতি সময়ে কিশোর ও তরুণদের বিপথগামী করছে অনায়াসেই। এমন সব যায়গায় আইন এবং বিচারের চেয়ে বেশী প্রয়োজন হয় সচেতনতার। এমন তারুণ্যের মেন্টরিং এই ক্ষেত্রে ভালো কাজ দেয় যে তারুণ্য এসব অপরাধ থেকে সত্যিকার অর্থে মুক্ত।
জাতীয় সংসদের নিয়মিত অধিবেশনে যোগদান ছাড়াও একজন সংসদ সদস্যের ব্যাপক কর্মযজ্ঞ থাকে সংসদীয় এলাকার বাইরে। বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দপ্তরগুলোতে নিজ এলাকার উন্নয়ন প্রকল্পগুলো নিয়ে দৌড়ঝাঁপ না দিলে কাঙ্খিত কাজ নিয়ে আসা সম্ভব হয়না।
নির্বাচিত সংসদ সদস্যকে যখন এসব কার্যক্রম নিয়ে এলাকার বাইরে অবস্থান করতে হয় তখন এলাকায় মানুষের এসব নিত্য প্রয়োজন ও সুখ-দুঃখের কথাগুলো শোনার, সমস্যায় তড়িৎ সমাধান দেয়ার এবং উন্নয়ন কাজগুলো ঠিকঠাক হচ্ছে কিনা এসব দেখাশোনা করার ক্ষেত্রে একটা শূন্যতা বিরাজ করে।
বাঁশখালীর সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে একমাত্র জহির ভাইয়ের নেতৃত্বেই এমন একঝাঁক উদ্যোমী তরুণ সেচ্ছাসেবক আছে যারা এই শূন্যতা পূরণ করতে পারে কর্তব্যপরায়ণতা ও পূর্ণ আমানতদারীতার সাথে।
বাঁশখালীতে জহির ভাইয়ের নেতৃত্বে রয়েছে যুব বিভাগ, শ্রমিক কল্যাণ সহ শতাধিক সামাজিক সংগঠনের ইউনিট এবং হাজার হাজার উচ্ছল তারুণ্য যারা বিগত ঘোর ফ্যাসিবাদের সময়েও এলাকার নানাবিধ সামাজিক কার্যক্রম পরিচালনা করেছে নিঃস্বার্থে।
ইসলামী ছাত্রশিবির ইতোমধ্যেই এই বাঁশখালীর একঝাঁক মেধাবী তরুণকে দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠগুলোতে নেতৃত্বের যায়গায় নিয়ে গেছে। তারা দেশ বিদেশের ডেলিগেটদের সাথে প্রতিদিন কাজ করছে, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক এনজিও, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও দাতা সংস্থাগুলোর সাথে কাজ করছে। এমন একটা চৌকস ছাত্র নেতৃত্ব জহির ভাইয়ের নেতৃত্বে আগামীর বাঁশখালী এবং বাঁশখালীর জনগণকে সেবা করার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে।
এই অবারিত সম্ভাবনাকে ধারন করে অবহেলিত জনপদটাকে গড়ে নেয়ার এই সুযোগ বিগত সময়ে বাঁশখালীর জনগণ পায়নি।
আশাকরি এবারে আমরা সেই সুযোগ মিস করবোনা ইনশাআল্লাহ।
